১। মোঃ সাইদুর রহমান বয়াতী
বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির প্রবাদপ্রতিম পুরুষ লোকশিল্পী মোঃ সাইদুর রহমান বয়াতী।১৯৩১ সালের মানিকগঞ্জ জেলার পুটাইল ইউনিয়নের পশ্চিম হাসলী গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন।তাহার পিতা মরহুম জিকের আলী এবং মাতা মরহুম কুসুমি বিবি।তিনি ১৯৫২ সালে ভাষারগান লিখে বেশ জনপ্রিয়তা পান। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু তার লিখা গানের জন্য তাহাকে পুরুস্কৃত করন।২০১২ সালে বাংলা একাডেমীর সন্মানসূচক ফেলোশিপ পান।২০১৩ সালে শিল্পকলা পদকসহ অসংক্ষক পুরুস্কার পান।
২। আবুল বাসার আব্বাসী
মো: আবুল বাসার আব্বাসী ১৯৭০ সালের ১৯ শে আগষ্ট মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়নের পশ্চিম হাসলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা- মো: সাইদুর রহমান বয়াতী , মাতা- সালেহা বেগম । সংগীত জীবন বাল্যকাল থেকে। প্রথমে তার বাবা মোঃ সাইদুর রহমান বয়াতীর কাছে হাতেখরি। পরে সুরুকার ও গীতিকার প্রনব ঘোষ ও কুটিমুনছুরের কাছে সংগীতের তালিম নেন।১৯৭৮ সাল জাতীয় মৌসুমী প্রতিযোগিতায় জারিগানে প্রথমস্থান লাভকরেন। বঙ্গভবন থেকে তৎকালিন রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুরস্কার ও সনদ পত্র গ্রহন করেন। এসময় তার গানে মুগ্ধ হয়ে আব্বাসী খেতাব দেওয়া হয়।১৯৯২ সালে আধুনিক এর উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে বিষয় ভিত্তিক স্বরচিত গানে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাত থেকে পুরস্কার সনদ পত্র গ্রহন করেন। এছাড়া ১৯৮০ সালে ঢাকা জেলা শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় ( খ) বিভাগ থেকে লোক সংগীত ও উচ্চাঙ্গ সংগীতে ১৯৮৯ সালে সাহিত্য সাংস্কৃতিক মহাসম্মেলন পুরস্কার ( লোকগীতি ও নজরুল সংগীত) , জেলা শিল্পকলা ও মহা সম্মেলন কমিটির যৌথ উদ্দোগে লোক সংস্কৃতি সংগ্রাহক পুরস্কার, ১৯৯০ সালে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ পুরস্কার ( নজরুল সংগীত ও রবীন্দ্র সংগীত), ১৯৯১ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পুরস্কার ( লোক গীতি ও নজরুল সংগীত), ১৯৯২ - জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পুরস্কার( লোকগীতি ও রবীন্দ্র সংগীত), ১৯৯২ - সাহিত্য সাংস্কৃতিক সপ্তাহ পুরস্কার, ২০১৮ সালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক সাংস্কৃতিক উৎসব -২০১৮ মুর্শীদি গানে সনদপত্রসহ দুই ডজনের অধিক পুরস্কার ও সনদ পত্র পেছেন। পল্লীগীতি,লোক গীতি,জারী সারী,কবী,মারফতি,মুরশীদি,ধূইয়া মালশী গোষ্ঠ, সখীসম্পাদ গানে বেশ পারদর্শী। তিনি গানের পাশাপাশি একজন সফল অভিনেতা। চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত " নদীর নাম মধুমতি,লালন ছবিতে তার বাবার সাথে গানে অংশ নিয়েছেন।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নাট্যকলা ইতসবে অনুষ্টিত ইমাম যাত্রা পালায় ইমাম হোসেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাসার তার বাবার সাথে বাঁশ ও ঔষুধী গাছ সহ বেশ কয়েকটি বিঞ্জাপনেও অংশ নিয়েছেন।আবুল বাসার আব্বাসী বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভূক্ত একজন শিল্পী। সংগীতের পাশাপাশী তিনি একজন সাংবাদিক ও তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সিনিয়র সহ- সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সাবেক সমাজকল্যান সম্পাদক,কোষাধক্ষ্য এবং প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদ ছিলেন। তিনি প্রবীন অধীকার নিয়ে বস্তনিষ্ঠ সংবাদ লেখায় বিশেষ অবদানের জন্য হেল্প এইজ ইন্টার ন্যাশনাল এবং বারসিক এর পক্ষ থেকে ২০১৬ সম্মাননা পান। আবুল বাসার আব্বাসী একাধারে শিল্পী, লেখক, গীতিকার, সুরুকার মঞ্চ সংগীত শিল্পী এবং সাংবাদিক। তার লেখা গান বিভিন্ন গবেষনামূলক বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত মুহাম্মদ নূরুল হুদা সম্পাদিত "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিবেদিত লোককবিতা গ্রন্থে, নাজমীন মর্তুজার সাধকের স্বদেশ ও সমগ্র" একুশের স্বারক গ্রন্থ ইত্যাদি এবং সংস্কৃতিতে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ শিল্পকলা সম্মাননা ২০১৮ পান এই গুনীশিল্পী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস