1. গর্ভকালীন যত্ন
গর্ভকালীন সময়ে মায়ের চাই বিশেষ যত্ন। মহিলাদের গর্ভধারনের পূর্বেই নিজের স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। কারণ একজন সুস্থ্য মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা। গর্ভকালীন যত্ন বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে বিশেষ ভাবে সাহায্য … [বাকিটুকু পড়ুন]
2. প্রসঙ্গ : মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন
বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগীর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৪৫ কোটি। এই সংখ্যা থেকে বলা যায়, মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব আজ আর নতুন করে ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। মানসিক স্বাস্থ্যকে বিশ্বব্যাপী প্রাধান্য দেবার প্রচেষ্টা শুরু হয়েছিল অনেক পূর্বে । সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর ‘ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব মেন্টাল হেলথ’ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ … [বাকিটুকু পড়ুন]
3. শরীর বিষমুক্ত করার অনন্য উপায়
ড. জেফরি মরিসনের একটি বড় পরিচয় হল তিনি নিউইয়র্কের মরিসন সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর অন্য পরিচয় হল তিনি আমেরিকান অ্যাকাডেমি ফর দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অব মেডিসিন বা এসিএএম-এর বোর্ডের একজন পরিচালক। প্রতিষ্ঠানটি আগে আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল প্রিভেনটিকস্ নামে পরিচিত ছিল। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের কাছে ড. মরিসন শরীর বিষমুক্ত করার … [বাকিটুকু পড়ুন]
4. স্বাস্থ্য সেবায় রোগীদের কাছ থেকে কর আদায়কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট
স্বাস্থ্য সেবা খাতে রোগীদের কাছে বিভিন্ন পরীক্ষায় সময় সরকারি কর (ভ্যাট) আদায়কে সংবিধান পরিপন্থী, বে-আইনী ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মো· মমতাজ উদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এ রায় দেন।
চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে কর আদায়ের উদ্দেশ্যে ১৯৯১ সালের … [বাকিটুকু পড়ুন]
কার্যক্রম:
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধিনে শিশুসহ সকল জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর হার ও রোগে ভোগার হার কমানো, গর্ভাবস্থা এবং প্রসব জনিত কারণেমাতৃ স্বাস্থ্য-এর ক্ষতি রোধের লক্ষে যেসকলকাজগুলো/ কর্মসূচীগুলোবাস্তবায়িতহয়সেগুলোরমুখ্যউদ্দেশ্যহল
(১) রোগ নিরাময় বা চিকিৎসা সেবা
(২) রোগ নিয়ন্ত্রণ বা রোগ প্রতিরোধ
(৩) নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা করা।
এই ৩ টি উদ্দেশ্যে প্রাতিষ্ঠানিক এবং মাঠ পর্যায়ে যে সকল কর্মসূচীগুলো পরিচালিত হয় তার মধ্যে
চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় উপজেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে(ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮-৩০ হতে ২-৩০ পর্যন্ত) ,জরুরী বিভাগে এবং অন্তঃবিভাগে(সব দিন এবং সবসময়) । প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা পরামর্শ ছাড়া ও রোগীদেরকে কোন ফি ছাড়াই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা যেমন রক্ত, প্রস্রাব, মল পরীক্ষা, ক্সরে, ইসিজি করা হয়।চিকিৎসার নিমিত্তে রোগীকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে বা অন্তঃবিভাগে ভর্তি করা হয়।সব বিভাগের পরামর্শকৃত বা ভর্তিকৃত সকল রোগীকে ওষুধ সরবরাহ করা হয়।নার্স বা সেবিকার তত্ত্বাবধানে ওয়ার্ডে বা অন্তঃবিভাগে রোগীদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয় এবং প্রতি রোগীকে দৈনিক ৭৫ টাকার পথ্য খেতে দেয়া হয়।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিওন্ত্রণাধিনে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার ও প্যারামেডিক্স এর তত্ত্বাবধানে বহিঃবিভাগিও রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এবং সীমিত পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়া ও এখানে সীমিত ওষুধ সরবরাহ ও দেয়া হয়।ওয়ার্ড পর্যায়ে কমুনিটি ক্লিনিক গুলো থেকে সাধারণ রোগগুলোতে আক্রান্তদেরকে সীমিত চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় এবং ওষুধ সরবরাহ করা হয়।সব পর্যায়ই থেকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন বিবেচিত হলে উচ্চতর পর্যায়ে বা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
রোগনিয়ন্ত্রণবাপ্রতিরোধেরউদ্দেশ্যেপরিচালিত কাজ গুলোর মধ্যে প্রধান হল সম্প্রসারিত টিকাদান বা Expanded program on Immunizationসংক্ষেপে EPI program। এই কর্মসূচীর অধীনে সকল ০-১১ মাসের শিশু কে যক্ষা, পোলিও, ডিপ্তথেরিয়া, হুপিং কাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস বি, হিব নিউমোনিয়া এবং হাম এই ৮ টি রোগের প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়।এবং নবজাতকের ধনুষ্টংকার প্রতিরোধের জন্য সকল মহিলাকে ১৫-৪৯ বছর বয়সের মহিলাদেরকে ধনুষ্টংকার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হয়।
এলাকাতে প্রকোপ আছে এরূপ সকল সংক্রামক রোগ যেমন ডাইরিয়া,যক্ষ্মা, এইডস, এ আর আই, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু কালাজ্বর ইত্যাদি,নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বতন্ত্র নীতিমালা অনুসরণকরে পুরো বছর নিদিষ্ট এবং স্বতন্ত্র কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়, এর মধ্যে উল্লেখ্য ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্যে জনগণকে কীটনাশকে চুবানো মশারী দেয়া হয় এবং জনগণের মশারি কীটনাশকে চুবিয়ে দেয়া হয়। পোলিও নিরমুলের জন্য প্রতি বছর ১ বার দুই রাউন্ড সকল ০-৫৯ মাসের শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো হয়। এরুপ সকল সংক্রামক রোগ গুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচী সম্পন্ন করা হয় উপাজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অধীনে।
শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ত রোধের জন্য ৯মাস-৫৯মাসের সকল শিশুকে ভিটামিন -এ খাওয়ানো হয়। ইহা ছাড়াও অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ভালো থাকার জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা দেয়া হয়।
নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা করার লক্ষে মাঠ পর্যায়ে সকল গর্ভবতীকে নিবন্ধন করা হয়, প্রসব পর্যন্ত সকলকে নিয়মিত চেক আপ করা হয় এবং ঝুঁকি যাচাই করা হয়।গর্ভবতীর অবস্থা অনুযায়ী গ্রাম পর্যায়ে CSBA কর্তৃক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ডাক্তার বা পরিবার কল্যাণ পরিদরশিকা কর্তৃক প্রসবের ব্যাবস্থা নেয়া হয়।প্রয়োজন বিবেচিত হলে বা কোন ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী হলে তাহাকে উচ্চতর হাসপাতালে রেফার করা হয় বিশেষত যে সকল হাসপাতালে EOCবা জরুরী প্রসূতি সেবা চালু আছে সে সকল হাসপাতালে।সকল প্রসূতিকে প্রসবের ৪২ দিনের মধ্যে ভিটামিন -এ ও খাওয়ানো হয়।
0
ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম
মোবা-০১৭২১৭৩৭১০৪
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
মানিকগঞ্জ সদর
মানিকগঞ্জ
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস